অলিউর রহমান, নবাবগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ নবাবগঞ্জের খলিশাগাড়ীর প্রধান রাস্তাটি অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়, বর্ষায় থাকে হাঁটুপানি। আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক শো মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ ছিল না এই রাস্তার কারণে। রাস্তা সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধির কাছে একাধিকবার গিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
তাই স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে সংস্কার করেছেন। নেজমাইলের বাড়ি থেকে মোন্নাফের দোকান পর্যন্ত সেই রাস্তা।এমন অবস্থা হইছিল, এই রাস্তা দিয়া ট্রাক মোটরসাইকেল বাই-সাইকেল এমনকি জুতা পায়ে হেঁটে যাওয়ার সাহস পাইত না। এই পরিমাণ গর্ত, কাঁদা আর পানি থাকত।
তাদের এমন কাজে খুশি রাস্তার চলাচলকারী ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় দোকানদার মোন্নফ বলেন, ‘প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর ধরে ইঁটের ভাটা গড়ে উঠার কারণে রাস্তাটা ভাঙা, গাতা (গর্ত) ছিল। অল্প বৃষ্টি হইলেই পানি জমে যাইত। রাস্তাটা দিয়া চলাচল করা যাইত না। এতগুলা গ্রামের লোকজন খুব কষ্ট কইরা চলত।
ভ্যানচালক সাগর বাবু বলেন, ‘যাত্রী নিয়া যাওয়া তো দূরের কথা, খালি ভ্যান নিয়াই যাওয়া যাইত না। জাগায় জাগায় গর্ত। তার ওপর হাঁটু সমান পানি। গর্তে পড়ে ভ্যান ভাইঙ্গা যাইত। এখন ঠিক করার পর অনেক আরামে চালাইতেছি।’
রাস্তা সংস্কারকারীরা বলেন, ‘এমন অবস্থা হইছিল, এই রাস্তা দিয়া ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল বাইসাইকেল যাওয়ার সাহস পাইত না। এই পরিমাণ গর্ত, পানি আর কাঁদা থাকত। পরে আমরা চেয়ারম্যান, মেম্বার, ভাইস চেয়ারম্যান ওনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। অনেক দৌড়ঝাঁপ কইরাও কোনো ফল পাই নাই।
তারপরে এলাকার যুবসমাজ রাস্তাটা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সকলকে ডাকে নিয়া বসে সংস্কার করেন। এখন রাস্তাটা দিয়া সবাই ভালোভাবে চলাচল করতেছে।
এখানকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে যাওয়া হইছিল। তারা কোনো আশ্বাস দিতে পারে নাই। সমাজ সেবক রেজাউল বলেন, ‘সরকারিভাবে যদি আর একটু ভালো করে কিছু করে দেয় তাহলে খুব উপকার হতো। বিশেষ করে একটা ড্রেন এবং ভালোভাবে চলাচলের জন্য পাকা করা খুবই দরকার। আমরা কোনোমতে এখন সংস্কার করছি।’